ডিজিটাল মার্কেটিং এন্ড ফ্রিল্যান্সিং বিষয় গুলো মূলত কি এবং এদের মধ্যে পার্থক্য কি?

Digital Marketing

ডিজিটাল মার্কেটিং এন্ড ফ্রিল্যান্সিং দুটি ভিন্ন বিষয়। চলুন নিচে আলোচনার মাধ্যমে জেনে নেই ।

ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং এর ভিতর কি কি রয়েছে?

ডিজিটাল মার্কেটিং হল একটি স্কিল। স্কিল হলো কোন কাজ করার পূর্বে সেই কাজ করার প্রসেসটি সম্পূর্ণরূপে জানা এবং ওই প্রসেসকে কাজে লাগিয়ে নির্ধারিত গোল / টার্গেট অ্যাচিভ করা।

 যেমন:- আপনাকে একটি ইমেইল সেন্ড করতে হবে একজন বায়ারের কাছে এবং সেই ইমেইলের মাধ্যমে তাকে আপনার কোম্পানির পণ্য সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে এবং সে ওই ধারনা থেকে, আপনার পণ্যটি ক্রয় করতে আগ্রহী হবে এবং ক্রয় করবে।

এই সম্পূর্ন বিষয়টিতে আপনাকে কি কি জানতে হবে:

১।  ইমেইল কি?

২। কিভাবে বিজ্ঞাপন ইমেইল লিখতে হয় ?

৩। কিভাবে অনেক মানুষকে এক সাথে ইমেইল পাঠাতে হয়?

৪। যাদের কে ইমেইল পাঠানো হয়েছে তারা মধ্যে ইমেইলটি অপেন করেছে কতজন?

৫। কতজন পড়েছে আর কত জন রিপ্লাই দেয়ছে?

৬। সেখান থেকে আপনার/ ক্রাইন্টে পন্য সেল হয়েছে কিনা? ইত্যাদি।

উপরোক্ত প্রত্যেকটি বিষয় হচ্ছে একটি  কাজের পূর্ণাঙ্গ স্কিল যা আপনার জানা না থাকলে আপনি কাজ করতে পারবেন না । সুতরাং আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং করার পূর্বে একটি স্ক্রিল অর্জন করা ১০০% আবশ্যক ।

এখন জানতে হবে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে কি কি স্কিল রয়েছে?

 ডিজিটাল মার্কেটিং প্লাটফর্মে মার্কেটিং কে কেন্দ্র করে অনেকগুলো মার্কেটিং স্কিল রয়েছে , সেগুলোর মধ্যে অন্যতম  স্কিল গুলো হচ্ছে নিম্নরূপ:

১। গ্রাফিক্স ডিজাইন: এর মধ্যে রয়েছে 

ক) সোশ্যাল মিডিয়া ব্যানার, কাভার, লোগো ডিজাইন ইত্যাদি 

খ) গুগল অ্যাড ব্যানার ডিজাইন

গ) ইউটিউব কভার, লোগো, থাম্বেল ডিজাইন

২। কনটেন্ট রাইটিং এবং ব্লগিং : এর মধ্যে রয়েছে 

ক) সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট

খ)  ওয়েবসাইট / ব্লগিং কন্টেন্ট

গ)  ই-কমার্স প্রডাক্ট কনটেন্ট ইত্যাদি 

ঘ) এডসেন্স এবং মনিটাইজ

৩। অ্যাডভার্টাইজিং এন্ড মার্কেটিং : এর মধ্যে রয়েছে 

ক) ফেসবুক অ্যাডভার্টাইজিং

 খ) ইনস্টাগ্রাম অ্যাডভার্টাইজিং 

গ) গুগল অ্যাডভার্টাইজিং 

ঘ) লিংকডইন অ্যাডভার্টাইজিং

৪। এসইও : এর মধ্যে রয়েছে 

ক) অন পেজ এসইও

 খ) অফ পেজ এসইও

৫। ইমেল মার্কেটিং

৬। লিড জেনারেশন 

ফ্রিল্যান্সিং কি ? এর বিতর কি কি জানতে হবে?

ফ্রিল্যান্সিং হলো কাজ করার মাধ্যম অর্থাৎ 

ক) আপনি কোথায় কাজ করবেন? 

খ) কোথায় কাজ পাবেন ? 

গ) কার থেকে কাজ নিবেন?

ঘ) কিভাবে কাজ নিবেন এবং সেই কাজ করে কাজ কিভাবে জমা দিবেন?

ঙ) কাজ জমা দেওয়ার পর বায়ার থেকে কিভাবে রিভিউ নিবেন ?

চ) আপনার পরিশ্রমের অর্থ কিভাবে, কোন মেথড ব্যবহার করে আপনার কাছে নিয়ে আসবেন?

এই পুরো বিষয়টি ফ্রিল্যান্সিং এর উপর নির্ভর করে। 

আশা করি যারা উপরোক্ত আর্টিকেলটি পড়েছেন, তারা এটি বুঝতে পেরেছেন যে, ফ্রিল্যান্সিং করার পূর্বে স্কিল অর্জন করা সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ এবং আবশ্যিক। যখন আপনার একটি পূর্ণাঙ্গ স্কিল থাকবে, তখনই আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। তাহলে আগে স্ক্রিল অর্জন করুন, পরবর্তীতে ফ্রিল্যান্সিং করার চেষ্টা করুন । 

পোস্টটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন এবং কোর্স করতে চাইলে আমাদের স্কিলআপ আইটির ওয়েবসাইট থেকে আপনার পছন্দের পোস্টটি এনরোল করুন। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন, নিরাপদ ও সুদক্ষ জীবন গড়ুন, আল্লাহাফেজ ।

Leave a Reply